মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
বর্তমানে অন্যতম বড় সমস্যা হল শিশুদের স্মার্টফোনের আসক্তি। এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবও মারাত্মক। তাই শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ বাবা-মার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের প্রতি ঠিকঠাক মনোযোগ দেয়া এবং সবাইকে নিয়ে পারিবারিক সময় কাটানো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কিশোর-কিশোরীরা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে এক ধরনের আকর্ষণ বোধ করে যে, মোবাইল ফোনে মেসেজ এলে সাথে সাথেই তার জবাব দিতে হবে। এর ফলে আসক্তি ক্রমশ আরও বাড়তে থাকে।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার যে প্রভাব ফেলছে, তা সত্যিই বিবেচনা করার মতো বিষয়। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সম্প্রতি যন্ত্র ব্যবহারের সময় কিছু সতর্কতা এবং পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তারা। যেগুলো অনুসরণ করে শিশুদের নিরাপদ রাখা যেতে পারে। প্রতি ঘণ্টা অন্তর শিশুদের অবশ্যই মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে চোখ সরানো উচিত, তারা বলছেন। শিশুদের নিরাপদ রাখতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আরো ভূমিকা রাখা উচিত বলে তারা মনে করেন।
সম্প্রতি ভারতের চার্টার বিশ্ববিদ্যালয় তাদের একটি গবেষণায় দেখিয়েছে, স্মার্টফোনের অধিক ব্যবহারে শিশুর চোখের রেটিনা, কর্নিয়া এবং অন্যান্য অংশের ক্ষতি হওয়ার বিপুল সম্ভবনার রয়েছে। এছাড়াও অধিক সময় ধরে মোবাইল ব্যবহারে একদিকে যেমন শিশুরা পড়াশোনায় মনোযোগ হারাচ্ছে, আবার তাদের মেজাজও হয়ে উঠছে খিটখিটে স্বভাবের।
অতিরিক্ত মাত্রায় স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে শিশুরা নানানরকম সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হল পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব। যার সুদুর প্রসারী প্রভাব পড়তে পারে শিশুর পড়াশোনাতেও। কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে সহজেই শিশুর স্মার্টফোনের ওপর আসক্তি কমানো যায়।